শক্তিগড়ের দুটি ল‍্যাংচার দোকান থেকে হাত সাফাই করে মোটা টাকা হাতিয়ে চম্পট দিল দুই বিদেশী খরিদ্দার

24th February 2020 বর্ধমান
শক্তিগড়ের দুটি ল‍্যাংচার দোকান থেকে হাত সাফাই করে মোটা টাকা হাতিয়ে চম্পট দিল দুই বিদেশী খরিদ্দার


খরিদ্দার সেজে দুটি ল্যাংচার দোকানে ঢুকে অভিনব কায়দায় মোটা টাকা হাত সাফাই করেনিয়ে পালালো দুই বিদেশী। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের  শক্তিগড়ে ।এখানকার প্রসিদ্ধ দুটি  ল্যাচার দোকান থেকে ২৫ হাজার টাকার বেশি  বিদেশিরা  হাতসাফাই করেনিয়ে পলিয়েছে বলে দোকান মালিকরা অভিযোগে জানিয়েছেন ।ব্যবসায়ীদের অভিযোগের ভিত্তিতে  দোকানের  সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ টাকা  হাতসাফাইয়ের ঘটনায় জড়িতদের খোঁজ শুরু করেছে । শক্তিগড়ের জাতীয় সড়কের দুপাশে রয়েছে  
অসংখ্য ল্যাংচার দোকান । যে দুটি ল্যাংচার  দোকানে বিদেশীরা হাত সাফাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছে  বলে অভিযোগ তার  একটির মালিক হলেন প্রভাশিষ রায়। আর অপরটির মালিক মিলন মল্লিক । প্রভাশিষ বাবু বলেন , রবিবার সন্ধ্যার পর চারচাকা গাড়িতে চড়ে আসা  মাঝ বয়সী এক পুরুষ ব্যক্তি এবং বোরখা পরিহীত এক মহিলা তার দোকানে আসেন । তখন দোকানে যথেষ্ট ভিড় ছিল ।সামান্য টাকার  ল্যাংচা কেনার পর ক্যাশ কাউন্টারে থাকা ব্যক্তিকে বড় অঙ্কের টাকার নোট দেন ওই পুরুষ ব্যক্তি  । ল্যাংচার মূল্যের  
টাকা কেটে নিয়ে ক্যাশ কাউন্টারে থাকা ব্যক্তি বাকি টাকা ওই ব্যক্তিকে ফেরত দেয় । তখনই   ওই ব্যক্তি  নকল টাকা ও  আশল টাকা চিনিয়ে দেবার অছিলায় ক্যাশ বাক্সের ড্রায়ারে ঝুঁকে পড়ে  সুনিপুন কায়দায় টাকায় হাত সাফাই করে নেয় । কেউ কিছু বুঝে উঠতে পারার আগেই দুজনে গাড়িতে উঠে কলকাতার দিয়ে রওনা হয়েযায় । অপর ল্যাংচার দোকানের মালিক মিলন মল্লিক  বলেন ,প্রাভাশিষ বাবুর দোকান থেকে কিছুটা পথ দূরে রয়েছে  তাঁর ল্যাংচার দোকান । ওই ব্যক্তিরা প্রভাশিষ বাবুর দোকানে হাতসাফাই সেরে তার দোকানে হাজির হয় । দুজনেই ইংরেজিত কথা বলছিল। তারা ফরেনার মনেহওয়ায় দোকানের সবাই তাঁদের আপ্যায়ন করে। মিলন বাবু বলেন, সামান্য টাকার ল্যাংচা কিনে তাঁর  দোকানেও  ওই পুরুষ ব্যক্তি বড় অংকের টাকার নোট দেন । ক্যাশ কাউন্টারে থাকা কর্মী ল্যাংচার দাম কেটে নিয়ে বাকি টাকা তাঁকে ফেরত দেয় ।  ওই সময়ে জাল নোট ও আশল নোট চিনিয়ে দেবার একই রকম অছিলায় তাঁর দোকানের ক্যাশ বাক্সের ড্রয়ারে হাতদিয়ে একই  ওই ব্যক্তি টাকা হাত সাফাই করেনেয় । দুই ব্যবসায়ী বলেন, তাঁরা এই হাতসাইয়ের বিষয়ে প্রথমে কিছুই  বুঝে উঠতে পারেন নি । 
পরে রাতে বিক্রি বাটার  ক্যাশ মেলাতে গিয়ে তাঁদের চোখ কপালে ওঠে  । ক্যাশে টাকা কম হচ্ছে কেন খোঁজ চালাতে গিয়ে  তাঁরা সিসিটিভি ফেটেজ খতিয়ে দেখেন । তখনই তাদের সামনে আসে টাকা হাত সাফাইয়ের ঘটনা । দুই ব্যবসায়ীর অভিযোগ তাঁদের দুজনের  দোকান থেকে ২৫ হাজার টাকার বেশি ওই ব্যক্তিরা হাত সাফাই করেনিয়ে পালিয়েছে । খবর পেয়ে রাতেই  শক্তিগড় থানার পুলিশ দুটি দোকানে যায়।  সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ছে ওই দুই ব্যক্তি  দোকানে ঢুকেছে ও বেড়িয়ে গেছে পায়ে হেঁটে ।কোন গাড়ির ছবি সিসিটিভি ফুটেজে  ধরা পড়ে নি।সুতরাং তারা কি ভাবে বা কোন গাড়িতে করে অপারেশন করতে এসেছিল  তা নিয়ে পুলিশও  ধন্দে পড়েগেছে । শক্তিগড় থানার পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে ঘটনার  তদন্ত শুরু করেছে।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।